×

আক্কেল দাঁতের চিকিৎসা ও করণীয়:

সংবাদ প্রতিনিধি ১১:০৪ মিঃ, জুলাই ২, ২০১৯ Views : 964

১. আক্কেল দাঁতের সমস্যা হলেই রেজিস্টার্ড দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ‍ুকোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এক্সরে করে আক্কেল দাঁতের অবস্থাও অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে।

২. আক্কেল দাঁত সাধারণত খাবার চিবোতে তেমন কাজে আসে না। খাবার চিবোনোর জন্য আক্কেল দাঁতের সামনে আরো দুটো পেষণ দাঁত রয়েছে। আক্কেল দাঁতে সমস্যা হলে তা সংরক্ষণের চিকিৎসা বা রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট করাও বেশ কষ্টসাধ্য। তাই আক্রান্ত দাঁতটি ফেলে দেয়ার পরামর্শই সাধারণত দেয়া হয়। তবে দাঁতটির উঠার পথ ও পর্যাপ্ত অবস্থান থাকলে হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে কুলিকুচি করা যেতে পারে।

৩. ব্যথা থাকলে সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধেই তা সেরে যায়। যদি দাঁতে ইনফেকশন হয়ে যায় তবে ডেন্টিস্ট এর প্রেসক্রিপশন অনুসারে অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হবে। অনেকক্ষেত্রে সমস্যা তীব্র হলে সার্জারির মাধ্যমে দাঁতটি ফেলে দিতে হতে পারে।

৪. কেউ কেউ আছেন ব্যথা হলে ব্যথানাশক ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করেন। চিকিৎসার প্রয়োজনবোধ করেন না। কিন্তু দাঁতটি যদি হাড় এর মধ্যে থেকে থাকে, তখন ইনফেকশন হয়ে হাড়ের ক্ষয় হতে হতে গলার কাছে ইনফেকশন চলে যেতে পারে। এটি বিপদজনক। তাই এমনটি করা যাবে না।

৫. সার্জারি করে দাঁত ফেলে দেয়ার পর কিছুদিন ব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া, হাঁ করতে না পারা, শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

৬. যদি আক্কেল দাঁতের পাশের দাঁতে ক্যাভিটি হয়ে থাকে তবে আক্কেল দাঁত ফেলার পর ক্ষতস্থান শুকিয়ে গেলে পাশের দাঁতের চিকিৎসাও করাতে হবে।

৭. আক্কেল দাঁত তুলে ফেলাটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। চিকিৎসক নন এমন কারো কাছে গেলে দাঁতটি ঠিকমত তোলা নাও হতে পারে। বরং ভেঙ্গে গিয়ে দাঁতটি ভেতরে থেকে যেতে পারে। যা স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তখন বিপদ আরো বেশি হতে পারে।

আক্কেল দাঁত প্রতিরোধের কিছু নেই। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে এ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত সকালে ও রাতে খাওয়ার পর সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।