- ব্রাশ- দিনে দু বার মিন্টজাতীয় ভালো টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করুন।
- মাউথওয়াশ- খাওয়ার পর অ্যান্টি-সেপটিক, রিফ্রেশিং মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- ফ্লস- অনেকেই মাড়িতে আটকে থাকা খাবার বের করতে অবহেলা করেন। এতে শুধু মুখে গন্ধই ছড়ায় না, অনেক বড় অসুখও হতে পারে। অনেকে আবার পিন, কাঠি দিয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে দাঁত খোঁচান। এতে মাড়ির ক্ষত হতে পারে। ভালো ফ্লস দিয়ে দাঁতের গোড়ায় আটকে থাকা খাবার বের করুন।
- জিভ- মুখে গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ হল অপরিষ্কার জিভ। দাঁত মাজার সময় অনেকেই জিভ পরিষ্কার করেন না । কিন্তু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখনই ব্রাশ করবেন ভালো করে জিভ পরিষ্কার করুন। প্রতিবার খাওয়ার পরও জিভ পরিষ্কার করে নিন।
- জল- ডিহাইড্রেশনের কারণে মুখে গন্ধ হয়। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ৮-১০ গ্লাস জল অবশ্যই খান।
- বারে বারে খান- অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে মুখে গন্ধ হয়। তাই দুই থেকে তিন ঘন্টা অন্তর লো ক্যালরি খাবার খান। এই ডায়েট মেনে চললে মুখে গন্ধ হবে না।
- পেঁয়াজ,রসুন- কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন থেকে মুখে দুর্গন্ধ হয়। কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হলেও যদি মুখে গন্ধ হওয়ার প্রবণতা থাকে তাহলে এগুলো এড়িয়ে চলুন।
- অ্যালকোহল- রাতে মদ্যপান করলে সকালে মুখে দুর্গন্ধ হবেই। তাই অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে ছাড়ুন।
- ডেন্টিস্ট-যদি মুখে গন্ধ হওয়ার প্রবণতা থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতি ছ,মাস অন্তর ডেন্টিস্টের কাছে যান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
- শারীরিক পরিক্ষা- হার্নিয়া,ডায়াবেটিস বা লিভারের সমস্যা হয়েছে কি না পরীক্ষা করিয়ে নিন।
- নাক এবং সাইনাসের বিভিন্ন ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। নাক পরিষ্কার রাখলে এই সমস্যা কমে যাবে।